চিনিগুড়া গাছ কোথায় পাওয়া যায় | স্টেভিয়া গাছ কোথায় পাওয়া যায়

চিনিগুড়া গাছ বা স্টেভিয়া কি

স্টেভিয়া মিষ্টি চিনির বিকল্প যা চিনির চেয়ে প্রায় ৫০ থেকে ৩০০ গুণ পর্যন্ত বেশি মিষ্টি হয়ে থাকে| এই স্টেভিয়া রেবাউলবিয়ানার পাতা থেকে আহরণ করা হয়| এটি দক্ষিণ আমাজন রেইন ফরেস্টের প্যারাগুয়ে এবং ব্রাজিলের অঞ্চলের একটি উদ্ভিদ |বর্তমানে বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে|

বর্তমানে ওয়ালটন এসির দাম ২০2৪

চিনিগুড়া গাছ বা স্টেভিয়া গাছ কোথায় পাওয়া যায়

স্টেভিয়া উপকারী এক ভেষজ উদ্ভিদ| যা সারা বিশ্বে সুপরিচিত| এটি গুল্ম জাতীয় বহু বর্ষজীবী উদ্ভিদ |যেটা ন্যাচারাল সুইটেনার হিসেবে পরিচিতির |গাছটির সহজ বাংলা নাম চিনি গাছ স্টেভিয়া| এই গাছ প্যারাগুয়ে পাহাড়ি অঞ্চলে পাওয়া যায় |

চিনিগুড়া গাছ বা স্টেভিয়া গাছ চাষ পদ্ধতি

স্টেভিয়া সাধারণত রোদ পছন্দের| এবং ছোটদিনের উদ্ভিদ| তবে রোদপছন্দের হলেও দিনের  ১৩ ঘণ্টার বেশি অপছন্দনীয়| গাছটির সবুজ পাতায় মূলত কার্যকরী মিষ্টি উপাদানের প্রধান উৎস|

স্টেভিয়া কৃষি বিজ্ঞানের দারুন অবদান
স্টেভিয়া কৃষি বিজ্ঞানের দারুন অবদান

স্টেভিয়া চাষ পদ্ধতি জৈব সারযুক্ত ও নিষ্কাশনযুক্ত দোআশ মাটি এবং সাধারণত 15 থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলস এর তাপমাত্রায় চাষের জন্য খুবই উপযোগী| বাংলাদেশের আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে অনেকেই স্টেভিয়া চাষ করে সফল হয়েছে|

রসুন রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকার করে

স্টেভিয়া পাতা

চিনি গাছের স্টেবিয়া| গাছটির সহজ বাংলা নাম| এই গাছ প্যারাগুয়ে পাহাড়ি অঞ্চলে পাওয়া যায় |এটি লতাগুলো জাতীয় গাছের পাতা খুবই মিষ্টি সাধারণত চিনির পরিবর্তে এই পাতা ব্যবহার করা হয়| সকল ধরনের কাজে যে সমস্ত বিষয়ে চিনি ব্যবহার করা হয় তার পরিবর্তে পাতা ব্যবহার করা হয়|স্টেভিয়ে পাতা খুবই মিষ্টি যা জিনিস চেয়ে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি বলে দাবি করা হয়|

 

স্টেভিয়ার উপকারিতা

ঔষধি গুনাগুন এবং ডায়াবেটিকস রোগীদের চা তৈরি স্টেভিয়া প্রজাতির প্রাকৃতিক দৃষ্টি সমৃদ্ধ উদ্ভিদের চাষ হচ্ছে ঠাকুরগাঁয়ের সুগার ক্রাফ গবেষণা কেন্দ্র |এ উদ্ভিদ মানব দেহের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা| জানা গেছে এ গাছটির আদি উৎপত্তিস্থল প্যারাগুয়েতে |ওই দেশে ১৯৬৪ সাল প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু হয়| ব্রাজিল ,করিয়া ,মেক্সিকো ,থাইল্যান্ড, ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দুর্লভ এ প্রজাতির স্টেবিয়া ফসল হিসেবে চাষ হচ্ছে|

২০০১ সালে বাংলাদেশের ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট মানব দেহের উপকারী এই উদ্ভিদটি থাইল্যান্ড থেকে সংগ্রহ করে| দীর্ঘ গবেষণার পর পাবনার ঈশ্বরদী ও ঠাকুরগাঁয়ে স্টেবিয়া এবং মিষ্টি পাতা প্রজাতির উদ্ভিদের কাজ শুরু হয়েছে|

আদার ঔষধি গুনাগুন

ঠাকুরগাঁও সুগার ক্রপস গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডঃ শরিফুল ইসলাম জানান স্টেভিয়া প্রজাতির এই উদ্ভিদ চিনি অপেক্ষা ৩০ থেকে ৪০ গুণ বেশি মিষ্টি ক্যালরি মুক্তির ডায়াবেটিস রোগীরা সেবন করলে রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ পরিবর্তিত হয় না|

এছাড়া রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণ সহ দাঁতের ক্ষয় রোগ ও ত্বকের কমলতা এবং লাবণ্য বৃদ্ধি করে উদ্ভিদের উপাদান| তিনি আরো জানান বছরের নয় মাস টবে অথবা মাটিতে চাষ করা সম্ভব| স্টেভিয়া কম্পোজিট পরিবারের একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ| পৃথিবীর অনেক দেশে এর পাতা বিক্রি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে |

জাপান বছরে ৫০ মেট্রিক টন স্টেরিয়া সিড ব্যবহার করে যার বাজার মূল্য ২২০ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার| জাপান, চীন ও কোরিয়াতে স্টেভিয়া প্রজাতির বিভিন্ন খাবার ও ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে| এর গুরুত্ব অনুধাবন করে বাংলাদেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ গবেষণার পর ঠাকুরগাঁও এবং পাবনা ঈশ্বরদীতে এর বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ শুরু করেছে|

স্টেভিয়া চিনির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

স্টেভিয়ে পাতার অনেক উপকারের মধ্যে কিছু অপকারিতাও রয়েছে নিচে এই গাছের অপকারিতা সম্পর্কে কিছু আলোচনা করা হলো |স্টেভিয়া খাওয়ার পরে কিছু লোক ফোলা ভাব বমি বমি ভাব বা গ্যাস সমস্যার অনুভব করতে পারে |এলার্জি প্রতিক্রিয়া বিরল পরিস্থিতিতে লোকেরা প্রতি এলার্জির প্রতিক্রিয়া অনুভব করতে পারে| যার ফলস্বরূপ আমরা চুলকানি বা ফোলা লক্ষণ দেখা দিতে পারে |

স্টেভিয়া পাউডার

স্টেভিয়া চিনির বিকল্প হিসেবে জিরো ক্যালরি, জিরো কার্বোহাইড্রেট ও রক্তে চিনির পরিমাণ বা সরকারের মাত্রা বাড়ায় না| ক্যালরি মুক্ত এ মিষ্টি ডায়াবেটিস রোগী সেবন করলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ পরিবর্তন হয় না| উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করে যকৃত ও অগ্নাশয় পুষ্টি সরবরাহ করে|

স্টেভিয়া আয়ুর্বেদিক ঔষধ

শুধু তাই নয় স্টেভিয়াতে রয়েছে আরো নানান ধরনের উপকারিতা আয়ুর্বেদিক ওষুধের ক্ষেত্রে স্টেভিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম|

স্টেভিয়া মানুষের দেহে অগ্নাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসরণের সহায়তা করে| এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে |ফলে স্টেভিয়া হাইপারটেনশন রোগীদেরও উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করে |  হাইপারটেনশন রোগীদের কেউ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধ করে শুধু তাই নয়| শরীরের সুস্থতা এবং সচেতনতাবোধ দৃষ্টি সহ উদ্দীপক ক্লান্তি নাশক হিসেবে স্টেভিয়ার ব্যবহার অদ্বিতীয়|  একটি যাদুকরী ভেষজ উদ্ভিদ| স্টেভিয়া চিনির পরিবর্তে আমাদের সকলেরই ব্যবহার করা উচিত|

Leave a Comment